দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন

প্রকাশঃ নভেম্বর ২০, ২০১৫ সময়ঃ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:২৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

parliament

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের দলীয় প্রতীকে এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান রেখে সংসদে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিল-২০১৫ পাস হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপর বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন, পীর ফজলুর রহমান ও এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, হাজী মো. সেলিম।

সরকারের শরীক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলটি পাসের আগে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে সংশোধনী প্রস্তাব জমা দেন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, অ্যাডভোটেক মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও টিপু সুলতান পৃথকভাবে সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে সরকারি দলের সদস্যদের উত্থাপিত কয়েকটি সশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সংসদে পাস হওয়া বিলটি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে। এরপর গত ২ নভেম্বর পৌর আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যাবে।

জাতীয় সংসদে বহুলে আলোচিত এই বিলটি গত ১৫ নভেম্বর উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত বুধবার বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয় সংসদীয় কমিটি।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ সব নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও বাস্তবে প্রতিটি দলই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দলীয় ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়ে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন থেকে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার পালনের সুযোগ দিতে এই বিল আনা হয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G